একটি দেশের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাধারণত এক বছরে ভৌগলিক সীমানার মধ্যে দেশি বা বিদেশি নাগরিকদের দ্বারা উৎপাদিত সকল দ্রব্য ও সেবার মোট আর্থিক মূল্যকে মোট দেশজ উৎপাদন(GDP) বলে। এটি মূলত একটি দেশের অর্থনীতির অবস্থার মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়।
একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির শক্তি বা সামর্থ বোঝার জন্য জিডিপি হিসাব করা হয়। তাছাড়া অর্থনীতিবিদরা জিডিপি ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতির অবস্থা নির্ধারণ এবং একটি অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা সেইসাথে মুদ্রাস্ফীতি এবং অস্তিত্বের প্রভাবগুলি পরিমাপ করেন। নীতি নির্ধারকরা সুদের হার, কর এবং বাণিজ্য নীতি সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার সময় জিডিপির দিকে নজর রাখে।
জিডিপি শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদিত পণ্য ও সেবার আর্থিক মূল্যমান। অর্থাৎ কেউ যদি বিদেশে কাজ করে অথবা কোনো কোম্পানি যদি বিদেশে ব্যবসা করে দেশে টাকা পাঠায় তাহলে সেই আয় জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হবে না বা অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হিসেবে পরিগণিত হবে না।
মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির গুরুত্ব:
জিডিপি ব্যক্তিগত অর্থ, বিনিয়োগ এবং চাকরি বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাছাড়া পরিকল্পনা এবং নীতি নির্ধারণের জন্য জিডিপি বেশিরভাগ সরকার এবং অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সূচক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মোট দেশজ উৎপাদন যেহেতু একটি দেশের অর্থনীতির সাধারণ অবস্থা বা শক্তি সরবরাহ করে তাই অর্থনীতিবিদরা জিডিপি বিশ্লেষণ করে অর্থনীতি মন্দা, হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নতুন সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করে। এসব তথ্য মানের উন্নতির সাথে সাথে পরিসংখ্যানবিদরা জিডিপিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য এবং এটি জাতীয় আয়ের একটি বিস্তৃত সূচক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছে।